Review

‘তারাভরা আকাশের নীচে’

‘তারা ভরা আকাশের নীচে’- শ্রীজাত

‘তারা ভরা আকাশের নীচে’- লেখক- শ্রীজাত

“দ্য স্টারি নাইট। আমার চারপাশটাই  ‘দ্য স্টারি নাইট’-এর ছবিটার মতো হয়ে যায়। আমি হুবহু ওই চারপাশ, ওই গাছ, বাড়ি, রাতের আকাশটা দেখতে পাই। ইন ফ্যাক্ট, ছবিটার মধ্যে হেঁটে বেড়াই।” -লাইন ক’টা পড়তেই শরীরের মধ্যে দিয়ে শিহরণ-স্রোত বয়ে যায়। এমন করে কেউ ভাবতে পারে এবং ভাববার রসদ জোগাতে পারে- সেটাই এই বইটির প্রতি একটা অন্য রকম মুগ্ধতা নিয়ে আসে।
‘বাস্তব হল কল্পনার বিরুদ্ধে দীর্ঘ এক ষড়যন্ত্র।’- সত্যি কথা বলতে, আমরা কেউ কেউ সেই ষড়যন্ত্রের শিকার কিংবা আমরা বেশিরভাগই সেই ষড়যন্ত্র গড়ার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। কল্পনাশক্তি যে বাতাসের থেকেও দ্রুতগামী- আসলে সেটা আমরা ভাবতে চাই না, কিছু কিছু ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক বলেও মনে করি।
দু’টো কাল, দু’টো জীবন- একটি জীবনের মালিক ভিনসেন্ট ভ্যান গঘ এবং অন্যজন সাধারণ আমাদের এই ‘ঘরোয়া শহর’ কলকাতায় বেড়ে ওঠা ঋত্বিক। আর ‘তারাভরা আকাশের নীচে’ কিংবা সামনে দাঁড়িয়ে ভিনসেন্ট ভ্যান গঘ এবং কলম-বন্দি ঋত্বিকের মধ্যে অদ্ভুত অন্তমিল পান শ্রীজাত। তাই এই অনন্ত মিল থাকা দু’জনের জীবনই হয়তো মিলে যায় ‘দ্য স্টারি নাইট’- এর সেই গভীর, ঘন নীল, ঘূর্ণিত আকাশটার মধ্যে অথবা কল্পনার কোনো এক সমান্তরাল জগতে।

Bengali, Flash Fiction, Ghost

রাতের অতিথি

ভয় আর নির্জনতা আঁকড়ে ধরে,
ঝড় জলের রাতে একলা রাস্তায় যানবাহনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে মেয়েটা।
অবশেষে সামনে একটা বাইক থামলো। কাঁপা কাঁপা ঠান্ডা হাত উঠলো ড্রাইভারের কাঁধে। হাওয়ার গতিতে বাইক চলছে ভুল রাস্তায়, ‘বাইক থামান!’-উত্তর নেই।
বাইক থামলো। অনেক লোকের ভিড় থেকে ভেসে আসছে কয়েকটা শব্দ,’আবার চাঞ্চল্যকর তথ্য, সেই স্পটেই আজ আবারও একটা এক্সিডেন্ট! আপনারা দেখছেন বয়েস তিরিশের একটি মেয়ে…’
সামনে গিয়ে মৃতদেহটা দেখে আঁতকে উঠলো মেয়েটা।
হঠাৎ কানের কাছে ঠান্ডা ফিসফিসানি, ‘কাল রাতে বাইকে করে আমি ফিরছিলাম, কালকের মৃতদেহটা আমার ছিল, আর আজ আপনার! আগে আমার কাজ ছিল অতিথিকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া, আর এখন আমাদের মতো ‘রাতের অতিথি’-দের তার দেহের কাছে পৌঁছে দিয়ে আসি!’

Ghost, Short Story

ভূত বাংলো

ডায়মন্ড হারবার। তিন বন্ধু বেড়াতে এসেছি। উঠেছি এক বাংলোতে। বাংলোর কেয়ারটেকার মনোহর। দেখলে মনে হয়, কোন মিশমিশে কালো গরিলার অনাহারে বুঝি হাড় জিরজিরে চেহারা হয়েছে। আর হাসলে যেন মনে হয় এক গোছা মুলো যেন দাঁতের জায়গায় বাঁধিয়ে বসেছে!
শীতকাল। এতটা পথ আসার ধকলে, ঠাণ্ডা হাওয়া লেগে গলাটা বেশ খুসখুস করছিলো। উঠে রান্নাঘরে এলাম। রান্নাঘরটা মোটামুটি অন্ধকার। উনুনের হলদে-লাল আগুনটা কেবল অন্ধকারের গায়ে একধরনের উজ্জ্বল আস্তরণ ফেলেছে।
রান্নাঘরের চৌকাঠের উপর দাঁড়িয়ে মনোহরকে বললাম, ‘মনোহর গলাটা বেশ খুসখুস করছে, এক গেলাস নুন-গরমজল করে দিতে পারো?’
টিনের দরজা খোলার সময় যে ক্যাঁচক্যাঁচ আওয়াজ হয়, ঠিক সেই রকম আওয়াজে মনোহর হাসতে হাসতে বলল,’জানেন বাবু, আমাদের গাঁয়েতে সবাই বলে, সামুন্দরের পানি শামশানের জ্বলন্ত চিতাতে গরম করে গারগেল করলে সব গলা ব্যথা ছুঁমন্তর।’
আমি হাসতে হাসতে বললাম,’ তুমিতো বেশ মজা করো!

আচ্ছা মনোহর, সবাই বলছিল এই বাংলোটা নাকি ভূত বাংলো?’

মনোহর:’ কাহে সবলোক ইয়ে সব বোলতে হ্যাঁয়! হামি তো কতো সাল সে এখানেই আছি।’
বলা শেষ হওয়া মাত্রই আমার শিরদাঁড়া বেয়ে একটা শীতল স্রোত বয়ে গেল। মনোহরের ডান হাতটা হঠাৎ দক্ষিণের জানলা দিয়ে ক্রমশ লম্বা হতে-হতে বেড়িয়ে গেল, আবার দু-সেকেন্ডের মধ্যে হাতটা ফিরে এলো, হাতটাতে তখন এক গ্লাস ফুটন্ত গরমজল, আমার দিকে বাড়িয়ে বলল,’বাবু, সামুন্দরের পানি, চিতার আগুনে গরমভি করিয়েছি, গারগেল করিয়েলিন গলা ব্যথা ছুঁমন্তর হয়ে যাবে!’
বলেই আবার সেই ক্যাঁচক্যাঁচ করে হাড়ে হিম ধরানো হাসিটা হেসে উঠলো।
Dystopia

ডিস্টোপিয়া

গভর্নমেন্ট কন্ট্রোল, রিলিজিয়াস কন্ট্রোল, টেকনোলজিকাল কন্ট্রোল, আর লাস্ট, স্ট্রাগল, ধরে নিলাম স্ট্রাগল ফর এক্সিসটেন্স বা অস্তিত্বের জন্য লড়াই, সবটা যদি আদ্যপ্রান্ত বিচার করি, আমি নিজেকে একটা নিখুঁত ডিস্টোপিয়ান ওয়ার্ল্ডে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখতে পাই!
আমরা যতোই সভ্য হয়ে থাকি না কেন, ডারউইনের মতবাদ সবসময়ের জন্যই কার্যকারী, বিবর্তন সবসময়ই হয়ে চলেছে, যুগে যুগে শুধু তার ধরণ বদলেছে, আমরা সবসময় সে বিষয়ে ভাববার সময় পাই না। সেই ‘অস্তিত্বের জন্য লড়াই’ করতে করতে আমরা এটলাসের মতোই একটা পৃথিবী বয়ে নিয়ে চলেছি,
পৃথিবী?
নাহ!
একটা ভারী ডিস্টোপিয়ান ওয়ার্ল্ড!

Shankha Ghosh

হাওয়ায় মিলিয়ে যাওয়া মানুষ

আমরা ক্ষয়ে যাচ্ছি বোধ হয়! তাই না?
মহাকাশ থেকে একটা একটা করে তারা খসে পড়ছে!
আর আমরা কান পেতে শুনতে পাচ্ছি তারা খসার শব্দ!
দেখতে পাচ্ছি ঊর্ধ্ব গগনের এক একটা তারা খসে পড়ে আর জায়গাটা এক রাশ আলো কাটিয়ে অন্ধকার অন্ধকার অন্ধকারে ডুবে যায়!

আমরা শুধু দর্শক হতে পারি!

Bengali, Bengali Writer, Flash Fiction, Love, Mr.Sunil Gangopadhyay, Philosophy

২৩ শে অক্টোবর সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যু দিবস উপলক্ষ্যে

কালো আকাশটার গা ঘেঁষে সূর্যটা উঠতে শুরু করল। তারা গুলো চুপি-চুপি জোনাকির ছদ্মবেশ ধরল আর চুপটি করে লুকিয়ে পড়ল গুহার মধ্যে। লম্বা-লম্বা দেবদারু গাছগুলোর মাথা-ঝাকড়া পাতা গুলোর ফাঁক দিয়ে সূর্যের সেই ‘প্রথম আলো’-টা ছড়িয়ে পড়ল পৃথিবীময়। পাখিদের ডাকের মাঝে শুধু ‘ঝর্ণার জলে’-র আওয়াজের তীব্রতাটাই একটু হারিয়ে গেল। জীবনের তেত্রিশটা বছর কাটিয়েছি এই ভেবে ভেবে যে, ‘কেউ কথা রাখেনি’। নাদের আলি কথা দিয়েছিল আমি বড়ো হলে সে আমাকে ‘তিন প্রহরের বিল’ দেখাবে। নাদের আলি! কোথায় সে! সে তো হাওয়ার সাথে মিলিয়ে গিয়েছে! আজ ‘নীরা’ অবশেষে তুমি এলে আমার সাথে, দুজনে একসাথে ‘তিন প্রহরের বিল’ দেখব বলে। সেই মধ্য রাত থেকে জেগে থাকার ছোট-বড়ো ক্লান্তি গুলো আজ তোমায় ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছে। কিরকম করে ঘুমোচ্ছ দেখ! ঠিক ছোট্ট শিশুটার মতো। যে দেবদারু গাছে ভর দিয়ে তুমি ঘুমোচ্ছ, তার পাতার ফাঁক দিয়ে একদল সোনালি রোদ তোমার শরীর বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে। তোমার মুখ, ঠোঁট, গাল, এলো চুল সবকিছু ধুয়ে দিচ্ছে সোনালি আলোটা। আর আমি, মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুধু চেয়ে আছি তোমার দিকে। মাঝে-মাঝে মনে হচ্ছে সোনালি আলো না, ‘সোনালি দুঃখ’ গড়িয়ে পড়ছে তোমার গাল, ঠোঁট আর চিবুক গড়িয়ে। ‘অর্ধেক জীবন’ এই সোনালি দুঃখকেই পরম সুখ মনে করে মখমলের চাদরের মতো জড়িয়ে ফেলতে চেয়েছিলাম নিজের সর্বাঙ্গে। ছুঁটে ফিরেছি বারবার, দুঃখ নামের নীল বিষটাকে গলায় ধারণ করতে শিখিয়েছিলেন মহেশ্বর। তাইতো নিজের পৃথিবী খুঁজে ১০৮ টা নীল পদ্ম জড়ো করলে যে নীল রঙ খুঁজে পাওয়া যায় তার তুলনায় আমার কণ্ঠের গরলের নীল রঙ ছিল গাঢ়। তুমি দেখতে পাওনি নীরা.. কেবল চিঠির মধ্যে খুঁজতে চেয়েছ ভুল করে লেখা ভুল গুলো। ‘মহারাজ, আমি তোমার…’ নাহঃ সেই পুরনো বালক ভৃত্যটা আর নই। আগেই ইস্তফা দিয়েছি তোমার কাজে। মহারাজ নীরাকে আজ যেতে দাও। ঘুমোতে দাও দেবদারু কোলে মাথা রেখে। অপেক্ষায় ছিলাম এই তোমার এলাকায়। আজ নীরা আমার সাথে যাবে। ঘুম ভাঙলে, ঘুমোলে ওকে কেমন লাগে আজ সে সচক্ষে দেখবে।

তারপর…

‘ মহারাজ, কাঁদে না ছিঃ !’

Dreams, Life, Nature, Philosophy

কান পেতে শুনতে চেয়েছি শব্দগুচ্ছ…

চেনা পথের খোঁজ করতে করতে ফেলে এসেছি আমি অনেকটা পথ।
রহস্যময়ী শহরের চোখে চোখ রেখে পড়তে শিখেছি তার অন্তরের ভাষা, খিলখিলিয়ে বয়ে চলা সরু ফিতের মতো নদীর সাথে সুর মিলিয়ে পার করেছি আমি কয়েকটা জন্ম, সহ্য করেছি দুরন্ত বালুরাশিতে বইতে থাকা নিরক্ষর বুনো হাওয়ার দাপট, দেখেছি মেরুজ্যোতির আলো পর্যন্ত।
তারপর পৃথিবীটাকে মুঠোয় ভরে,
ছায়াপথে উবু হয়ে বসে,
কান পেতে আমি শুনতে চেয়েছি পৃথিবীর অন্তরে বাজতে থাকা অনন্ত শব্দগুচ্ছ।

Nature

পাথরকুচি

শহর এক ধূসর কিশলয়। রঞ্জকবিহীন।
তবু এখানে পাথরকুচির মতো মানিয়ে চলে দমবন্ধ সজীবতা।
রাস্তা ছড়িয়ে থাকে শহরের শিরায় শিরায়।

পাথরকুচি ভুলে যায় পুরোনো ধারকের কথা।
তাই ধূসর শহরে ঘুমিয়ে পড়ে কয়েকটা ইতিহাস।
শহর ভুলে গেছে সবুজ রঙের মাহাত্ম্য।
তবু পাথরকুচি পাতার খাঁজে জমে থাকে সুক্ষ্মপ্রাণ, সবুজ বিতরণের অপেক্ষায়।

Ghost, Life, Philosophy

কবর-তলার প্রলাপ

সুবাস ছড়ায় আমার মৃত রজনীগন্ধার মালা,
মনে করি, আমার কবরের ঘুম বুঝি এবার সাঙ্গ হবার পালা।
‘এবার জাতিস্মর হবো!’
আমার এই শুকনো কঙ্কালের কথা কে-ই বা শোনে!
কেবল শুকনো বুকের পিঞ্জর কেঁদে মরে কোনো প্রাণপাখির টানে!

আসুক না কোনো আধুনিক এক সত্ত্বা।
এই শুষ্ক হাড়ের উপর আবার কাশফুলের মতো প্রস্ফুটিত হোক কোমল মাংসল পেশী।
তার ওপর কাঁচা সোনার রঙের চামড়ার বিন্যাস হোক।
বিধাতা এক তুলির টানে বর্ণনা করুক লোচনদ্বয়।
থাকুক সোনালী ঢেউ খেলানো দীর্ঘ চিকুর।
সেই ঢেউয়ের গতিতে ভেসে যাক কয়েকটা মন।
নাই বা হোলাম পঞ্চবটির ভূমিসূতা।
তাতে কি-ই বা এলো গেলো!

দিন কাটে ধোঁয়াটে আলোর মেলায়।
পার্থক্য বুঝি না আমি মানুষ আর না-মানুষের!
মৃত কঙ্কাল আমি ভেসে ফিরি শরীর গড়ার স্বপ্ন নিয়ে।
আর কবর-তলার এই প্রলাপ চাপা পড়ে থাকে কবরের নিচেই।

Review

‘শালিমারে সংঘাত’

বিংশ শতকের অন্যতম বিখ্যাত লেখক, কবি হলেন শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানত তাঁর লেখা কবিতার সাথেই বেশিরভাগ সকলের পরিচয়। ‘শালিমারে সংঘাত একটি বিলিতি বোস থ্রিলার’, শ্রীজাত-র ২০১৭-এ প্রকাশ পাওয়া একটি উপন্যাস। উপন্যাস হিসেবে একটি আধুনিক এবং সম্পূর্ণ অন্যস্বাদের একটি উপন্যাস।

উপন্যাসের কেন্দ্রচরিত্র হলেন আন্ডার কভার এজেন্ট বিলিতি বোস। রাশিয়ান জঙ্গি হানার বিরুদ্ধে লড়ার জন্য টপ প্রাইভেট এজেন্সি তাকে নিয়োগ করে। বিলিতি বোস, তার এসিসস্টেন্ট টফি দে সহ বিরাট টিম নিয়ে সেই মিশনে যান এবং বলা চলে উপন্যাস শেষ হয় উইথ হ্যাপি ফেসেস। না যত সহজে দু-লাইনে বলা হলো আদতে উপন্যাস তত ছোট নয়। একশো আটান্ন পৃষ্ঠার উপন্যাসে তথাকথিত ‘রহস্য-রোমাঞ্চ’- উপন্যাসের উপাদান ততটা নেই যতটা আরও অন্য উপন্যাসে পাওয়া যায়। রসসিক্ত ঘটনাবলীর সমন্বয় এই উপন্যাস এক্কেবারে অন্য রূপ নিয়েছে।

‘থ্রিলার’ শব্দটার মধ্যেই যেন কেমন একটা গাম্ভীর্য লুকিয়ে আছে। সেই থ্রিলার গল্পকেই কল্পনাশক্তি ও হাস্যরসে নিমজ্জিত করে পরিবেশন করেছেন লেখক। লেখার পদে-পদে ফুটে উঠেছে লেখকের নিজস্বতা।অন্য সকল উপন্যাসের থেকে এই উপন্যাসটি আলাদা করা যায় তাঁর ভাষা ও পরিবেশনের মাধ্যমে।

উপন্যাসের ভিতরে রয়েছে অনেক অনেক ভিন্ন চরিত্র যারা সকলেই রায়পাড়ার বাসিন্দা। আর রয়েছে তাদের জীবনের বিরল ঘটনা গুলি! প্রথমের ঘটনাগুলি পাঠকের মনে তৃপ্তি ও আনন্দের সঞ্চার করলেও উপন্যাসের মাঝপথে গিয়ে এতো গুলো ক্যারেক্টারের অলিগলিতে হারিয়ে যেতে হতেই পারে পাঠককে। তবু, প্রেম, অদ্ভুত ক্যারেক্টারদের অদ্ভুত ফিলোসফি নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে করতে দর্শকের মনোগ্রাহী হতে বাধ্য এই উপন্যাস।